আমিন আমিন ধ্বনিতে প্রকম্পিত টঙ্গীর কহর দরিয়া তুরাগ নদের তীর

 আমিন আমিন ধ্বনিতে প্রকম্পিত টঙ্গীর কহর দরিয়া তুরাগ নদের তীর

Generic placeholder image
  Ashfak

ঐতিহ্যবাহী সোনাবানের শহর টঙ্গীর কহর দরিয়া তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত বিশ^ মুসলিম উম্মাহর মহা-সম্মেলন বিশ^ ইজতেমার ৩ দিনব্যাপী দ্বিতীয় পর্ব রোববার সকালে আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি হলো। সকাল ১১টা ১৭ মিনিট থেকে শুরু করে ১১টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত ২৬ মিনিট মোনাজাত অনুষ্টিত হয়। মোনাজাতে গভীর আকুতি মিনতি, নিজেকে আত্মসমর্পণ ও অশ্রুসিক্ত নয়নে দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাজের তত্ত্বাবধানে রোববার শেষ হলো মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মিলনমেলা, বিশ্ব তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম আসর। লাখো মানুষের কাংখিত আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ব তাবলিগ জামায়াতের দিল্লি মারকাজের শীর্ষস্থানীয় আলেমে দ্বিন মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভীর বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী। ২৬ মিনিট স্থায়ী জনসমুদ্রে হঠাৎ নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। যে যেখানে ছিলেন, সেখানে দাঁড়িয়ে বা বসে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ চারপাশের এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপণিবিতান, অফিস প্রায় সব কিছু ছিল বন্ধ। সবার প্রাণপণ চেষ্টা ছিল দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লিদের সঙ্গে মোনাজাতে অংশ নিয়ে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। মোনাজাতে সমস্ত বিশ্বের পথভ্রষ্ট মুসলমানদের নাজাত, ঐক্য, মুক্তি, সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা, আত্মশুদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ কামনা করে রাব্বুল আলামিনের দরবারে ফরিয়াদ জানানো হয়। ভাবাবেগপূর্ণ পরিবেশে ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে শীতের আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে দয়াময় আল্লাহর দরবারে করুণা ও অশেষ রহমত কামনা করেন দেশ-বিদেশের প্রায় ২৫ লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান। বয়ান করেছেন: রোবববার ফজরের পর বয়ান করেন মুফতি মাকসুদ (ভারত), বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আব্দুল্লাহ। সকাল ১০টার দিকে হেদায়েতের বয়ান করেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ (ভারত), বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। এরপর আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্বে ৮ মুসল্লির মৃত্যু: বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে আট মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। ইজতেমা ময়দানে ৭জন ও ময়দানে আসার পথে একজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন- ঢাকার বংশালের মুনতাজ উদ্দিন (৭৮), সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের জালাল মন্ডল (৬০), জামালপুরের ইসলামপুরের নবীর উদ্দিন (৬০), শেরপুরের আবুল কালাম (৬৫), নেত্রকোনার কেন্দুয়ার আব্দুল হেলিম মিয়া (৬২), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের জহির উদ্দিন (৭০) ও লক্ষ্মীপুরের রামগতির আবুল কাসেম (৬৫)। যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার চারাতোলা গ্রামের মৃত কাবিল হোসেনের ছেলে হারুন অর রশীদ (৬৫)। এছাড়া ইজতেমায় আসার পথে আবদুল্লাহপুরে বাসের ধাক্কায় আবুল কাসেম (৬০) মারা যান। আখেরি মোনাজাতে দল বেঁধে নারীরা: টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানের আশপাশে এসেছেন নারী মুসল্লিরা। নারীরা দল বেঁধে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, স্টেশন রোড, পূর্ব থানা গেইট ও বাটা গেইটসহ আশপাশের বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে বসেছিলেন আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের সমাপ্তি হলো। টঙ্গীর কহর দরিয়া তুরাগ নদের তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাচ্চাসহ নারী-পুরুষ সবাই দলবেঁধে এসেছেন ইজতেমা ময়দানে। টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের উদ্দেশে গাজীপুর থেকে সকাল সাড়ে ৭ টায় এসে মিলগেইটে নামেন শিল্পী আক্তার নামের এক নারী। সঙ্গে আছে ছেলের বউ কুলসুম আর মেয়ে ফারহানা। তারা জানান, টঙ্গী পূর্ব থানার গেইটে দাঁড়িয়ে বা বসে মোনাজাতে অংশ নিবো। আমার মেয়ে আর ছেলের বউকে সঙ্গে এনেছি। এখানে এসে দেখছি আমাদের মতো হাজার হাজার নারী মুসল্লিরাও এসেছেন মোনাজাতে অংশ নিতে। কে জানে আল্লাহ কার উছিলায় আমাদের দোঁয়া কবুল করেন। দ্বিরাশ্রম এলাকা থেকে মোনাজাতে এসেছেন নূরজাহান বেগম (৭০), উনার সঙ্গে আরো ৮/৫ জন বয়স্ক নারী। তিনি জানান, প্রতিবার আখেরি মোনাজাতের দিন চলে আসি। বনমালা হয়ে শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতাল মাঠে এসে পৌঁছেছি। কোন ক্লান্তির ছাপ নেই তার। প্রতি বছর ইজতেমায় এসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিই। আমরা দলবেঁধে পাড়ার নারীরা আসি। আজও সেই লক্ষ্যে এসেছি। পুবাইল থেকে এসেছেন আফরিনা বেগম। তিনি বলেন, অসুস্থ স¦ামী ও সন্তানের রোগমুক্তি কামনা করতে আমি ইজতেমা মাঠে এসেছি। আমি আমার স্বামী সন্তানের জন্য দোঁয়া চাইব আল্লাহর কাছে। আমার সঙ্গে আরও ৪ জন নারী ইজতেমা ময়দানে এসেছেন আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে। ইজতেমা চারপাশ হকারদের দখলে: টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় শত শত নতুন নতুন হকারের মিলনমেলা বসেছে। বিকিকিনিতে যেন ইদ লেগেছে হকারদের। লাখ লাখ মুসল্লি দেখে দামও হাঁকাচ্ছেন দ্বিগুণ। রোববার ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টঙ্গী এলাকার আশপাশের রাস্তাঘাট সব জায়গাতে হকার আর হকার। এযেন হকারদের মিলন মেলা। ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের কাছে জায়নামাজ, টুপি, তসবিহ বিভিন্ন খাবার সামগ্রি, কাপড়, বিছানার চাদর বিক্রি করেছে হকাররা। এছাড়া বিক্রি করছে শীতের কাপড় যেমন-ব্লেজার, মাপলার, কান-টুপি ইত্যাদি। নিম্নমানের জায় নামাজ বিক্রি করছেন ১০০/১৫০ টাকা। যেটা সাধারণত বিক্রি হয় ৭০/৮০ টাকায়। ৭০ টাকার নামাজের পাটি বিক্রি করছেন ১৬০ টাকা। ১০ টাকার টুপি বিক্রি করছেন ২০ টাকা। ১২০/১৫০ টাকার লম্বা পাটি বিক্রি করছেন ৩০০/৩৬০ টাকা। বাচ্চাদের পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ২০০/৩০০ টাকায়। আর ৩০ টাকার মোজা বিক্রি হচ্ছে ৫০/৮০ টাকায়। এছাড়াও শীতের চাদর বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০/৭০০ টাকা পিস এবং ফুটপাতে ব্লেজার বিক্রি হচ্ছে ৩০০/৩০০০ টাকায়। আরও নানা পণ্যও মিলছে ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে। ইজতেমা ময়দানের পথে পথে ১০ টাকায় অজুর পানি বিক্রি: ইজতেমা ময়দানের আশপাশে লাখ লাখ মুসল্লিদের ভীঁড়ে নানা ব্যবসার পসরা সাঁজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে ১০ টাকায় অজু পানি, ২০ টাকায় মল ত্যাগ, ৩০ টাকায় গোসল করানোও একটি ব্যবসায় রূপ নিয়েছে। পথে পথে বালতি ও ড্রামে পানি ভর্তি করে এনেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। সাজিয়ে রেখেছেন ছোট ছোট টুল ও পিঁড়ি। আছে পানি ভরার বদনা। ইজতেমার ময়দান লক্ষ্য নিয়ে যারা পায়ে হেঁটে চলেছেন এমন মুসল্লিদের জন্য এই অজুর পানি। বিনিময়ে প্রতি মুসল্লিদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে নেওয়া হয়। এছাড়া মল ত্যাগ, প্রস্ধসঢ়;্রাব করার জন্য ২০ টাকা এবং বিশেষ প্রয়োজনে গোসল করতে চাইলে ৩০ টাকা দিতে হয়েছে তাদের। তবে অনেকে আবার ফ্রি অজুর পানি দিচ্ছেন মুসল্লীদের। ইজতেমা থেকে ফিরতে পথে পথে ভোগান্তি, পরিবহনগুলো ভাড়া নিচ্ছে দ্বিগুণ: যানজট কম থাকায় বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় এসেছিলেন মুসল্লিরা। তবে আখেরি মোনাজাত শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। যাত্রীবাহী বাসে প্রচন্ড ভিড় থাকায় দলে দলে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন অনেকে। পথিমধ্যে অনেকে আবার মোটরসাইকেল, ভ্যান, অটোরিকশা ও পিকআপে চড়ে রওনা করছেন। এক্ষেত্রে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। তাছাড়া যাত্রীবাহী বাসগুলো ভাড়া হাকছে দ্বিগুন। টঙ্গী এবং আব্দুল্লাহপুরের বিভিন্ন বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, আখেরি মোনাজাত শেষ হতে না হতেই বাড়ি ফিরতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন মুসল্লিরা। কিন্তু সেই অনুযায়ী রাস্তায় পর্যাপ্ত বাস নেই। যে কয়টি বাস রয়েছে, সেগুলোও দূরের যাত্রীদের নিচ্ছে। এছাড়া বাসগুলো ভাড়াও নিচ্ছে দ্বিগুণ। বিমানবন্দর, মহাখালী ও মগবাজার হয়ে সায়েদাবাদ রুটে চলাচল করে বিভিন্ন লোকাল পরিবহন। এই লোকাল বাসগুলোতে ১২০ টাকার নিচে কোনো যাত্রী নিচ্ছে না। কেউ যদি মহাখালী নামেন তাকেও ১২০ টাকা দিতে হবে বলে জানানো হয়। ফলে বাধ্য হয়ে দ্রুত গন্তব্যে ফিরতে ১২০ টাকা দিয়েই বাসে উঠছেন যাত্রীরা। এদিকে রাজধানীতে চলাচলকারী পরিবহনগুলোর ক্ষেত্রে একই দৃশ্য দেখা গেছে। নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে বাসগুলো। এদিকে, মোটরসাইকেলে চড়ে আশপাশের গন্তব্যে যেতে গুনতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা। আর যারা যাত্রাবাড়ী, গুলিস্থান কিংবা সদরঘাট যাচ্ছেন, তাদের কাছ নিচ্ছে ৬০০- ৭০০ টাকা। তবে বেশিরভাগ যাত্রীদের পায়ে হেঁটে হেঁটে দলে দলে ইজতেমা মাঠ ছাড়তে দেখা গেছে। এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন ইজতেমা ময়দান থেকে কম দূরত্বের এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত, বাড্ডা ও রামপুরাসহ বোর্ডবাজার, জয়দেবপুর, পুবাইল কালীগঞ্জ, আশুলিয়া, সাভার নবীনগর এলাকার মুসল্লিরা। উপায় না পেয়ে অটোরিকশা, ভ্যান ও পিকআপে চড়ে গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটছেন তারা। আবার এগুলোর কোনোটিতেই চড়ার সুযোগ না পেয়ে দলে দলে পায়ে হেঁটে ফিরতে দেখা গেছে অনেকেই। ভিআইপিদের মোনাজাতে অংশগ্রহণ: দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলমসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিদেশি মেহমান: বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, রোববার সকাল পর্যন্ত মোট ৬৫ দেশের ৯২৩১ জন বিদেশি মেহমান ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। এদের মধ্যে ইংলিশ-২৬১৫, পশ্চিমবঙ্গ-২৭৫৯, উর্দু-২৬৬২, আরব-৭৩২ জন, বিদেশি শিক্ষার্থী-১৯০, বিদেশে বসবাসের উদ্দেশ্যে নিজ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করা- ২৭৩। আগত বিদেশী মুসল্লীদের দেশগুলো হলো- ভারত, আফগানিস্থান, আলজেরিয়া, অষ্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, ব্রুনাই, কানাডা, চীন, ক্যামেরুন, কঙ্গো, মিসর, ফিজি, ফ্রান্স, ঘানা, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইসরাইল, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, জর্দান, কাজাখস্থিান, কেনিয়া, কুয়েত, কিরগিজস্থান, লেবানন, মালয়েশিয়া, মৌরিতানিয়া, মরক্কো, মিয়ানমার, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, পাকিস্থান, ফিলিপাইন, কাতার, রাশিয়া, সৌদি আরব, সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, সুইজারল্যান্ড, সুদান, সুইডেন, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, উগান্ডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ভিয়েতনাম, ইয়েমেনসহ ৬৫টি দেশ। যৌতুকবিহীন ১৪টি বিয়ে: শনিবার বাদ আসর ইজতেমা ময়দানে যৌতুকবিহীন ১৪ জোড়া বিয়ে হয়। বিয়ের বর-কনেরা হলেন- হোমায়ার ইসলাম-হুরাইরা জামান, মো. আলাউদ্দিন-সুমাইয়া ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান-মুক্তা আক্তার, মো. ওমর-ইশরাত জাহান, সুজন আহমেদ-মায়মুনা আক্তার, রাতুল-মায়মুনা আক্তার, ওমায়ের ইসলাম-মুনিম আক্তার, মো. শাওন- ছাবিনা আক্তার, মো. মছুরুল হক-শাদিয়া মাহমুদ, ফজলে রাব্বি-মোহনা সুলতানা এছাড়া মো. ছাব্বির হাসান-মোছাম্মদ হালিমা আক্তার, মো. ইজমাইন- ফাতেমা আক্তার ও মো. আজম খান-সুমাইয়া ইসলাম। ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম পর্বে ৭২ জোড়া ও দ্বিতীয় পর্বে ১৪ জোড়াসহ মোট ৮৬ জোড়া যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে ইজতেমা ময়দানে। উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে টঙ্গীতে। ১৯৯৬ সালে একই বছর দু’বার বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্থান সংকুলান না হওয়ায় এবং মুসল্লিদের চাপ ও দুর্ভোগ কমাতে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে বিশ^ ইজতেমা আয়োজন করা হচ্ছে। এবার ৫৭তম ইজতেমার দুই পর্বে বিদেশি রাষ্ট্রের প্রায় ১৮ হাজার বিদেশি মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া প্রথম পর্বে ২৬ জন ও দ্বিতীয় পর্বে ৮জনসহ ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমায় মোট ৩৪ জন মারা গেছেন।


মৃণাল চৌধুরী সৈকত,টঙ্গী
 

মন্তব্য করুন হিসাবে:

মন্তব্য করুন (0)